বিএনপির সমাবেশে পিটার হাস সহায়তা করেছেন : রাশিয়া
টুইট ডেস্ক : বাংলাদেশে সরকার বিরোধী সমাবেশ আয়োজনে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিরোধী দলকে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা মস্কোতে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘অক্টোবরের শেষে, বাংলাদেশে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সরকারবিরোধী সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে স্থানীয় বিরোধীদলের একজন সদস্যের সঙ্গে দেখা করেন।’
‘এই ধরনের কাজ অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্থূল হস্তক্ষেপের চেয়ে কম কিছু নয়,’ বলেন জাখারোভা। মূলত গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ নিয়ে তার এই মন্তব্য।
বুধবার ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাসের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে মারিয়ার এই বক্তব্য পোস্ট করা হয়। একইসঙ্গে এক্সেও (সাবেক টুইটার) এই পোস্ট শেয়ার করা হয়।
রাশিয়ান দূতাবাসের ফেসবুক পেজে একটি ফটো কার্ড শেয়ার করা হয়। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাকে উদ্ধৃত করে তাতে বলা হয়, বাংলাদেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচন যাতে স্বচ্ছ ও অংশগ্রহণমূলক হয় তা নিশ্চিতের আড়ালে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের প্রচেষ্টাকে আমরা বারবার তুলে ধরেছি।
বিএনপির বয়কটের আহ্বানের মধ্যেই আগামী গত ৭ জানুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টিকে নিজেদের মধ্যে সংলাপ করার চিঠি দেয়। সেই চিঠি নিয়ে দূতিয়ালি করেন পিটার হাস।
২৬ অক্টোবর গুলশানের আমেরিকান ক্লাবে মার্কিন দূতাবাসের পলিটিক্যাল সেক্রেটারির সাথে জামায়েতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরের একটি গোপন বৈঠকের খবর প্রকাশ পায়।
২৮ অক্টোবর ওই সমাবেশের দিন নিজেকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা দাবি মিয়ান আরাফি নামের একজন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বক্তব্য রাখেন। তাকে পরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মার্কিন দূতাবাস ওই ব্যক্তির জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে কনস্যুলার অ্যাক্সেসও চেয়েছে। ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের আগে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ওই সাক্ষাতের পর মন্ত্রী বলেন, সমাবেশের সময় সরকার ঢাকার সড়ক ও প্রবেশপথ বন্ধ করবে কি না সে বিষয়ে মার্কিন দূত তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন। তবে মার্কিন দূতাবাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ দাবি পরে প্রত্যাখ্যান করে। এর আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় আমেরিকার হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলো রাশিয়া ও চীন।