জাতীয় পার্টির কর্মসূচি নেই, তবু পুলিশের ‘সতর্ক’ অবস্থান
টুইট ডেস্ক: সভা-সমাবেশের ওপর ডিএমপির নিষেধাজ্ঞার পর জাতীয় পার্টি কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে পুলিশের বাড়তি তৎপরতা দেখা গেছে।
শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কার্যালয় ঘিরে ও এর আশপাশে কোনও নেতাকর্মীর দেখা মেলেনি।
ওই এলাকায় ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি’ এড়াতে ‘বাড়তি সতর্কতার’ অংশ হিসেবে পুলিশ মোতায়েন করার কথা জানিয়েছেন ডিএমপির রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জুয়েল রানা।
তার ভাষ্য, “ওই এলাকায় ডিএমপি কমিশনার মহোদয় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। সে অনুযায়ী জাতীয় পার্টিও তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
সেজন্য সেখানে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা নেই। তার পরেও সর্বোচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে বাড়তি ফোর্স মোতায়েন আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার সকাল থেকেই জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে বাড়তি পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনীর টিমকেও ওই এলাকায় টহল দিতে দেখা গেছে।
দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে প্রত্যেকটি প্রবেশপথে পুলিশ সদস্যদের তৎপরতা দেখা গেছে। কার্যালয়ের সামনেও একদল পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, মহাসচিবসহ দলের নেতাদের নামে হওয়া মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে শনিবার ঢাকায় সমাবেশ এবং বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছিল দলটি।
বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি ঘোষণার কিছুক্ষণ বাদে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
খানিক বাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ফেইসবুকে পোস্টে বলেন, “জাতীয় বেঈমান এই জাতীয় পার্টি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিজয়নগরে আমাদের ভাইদের পিটিয়েছে, অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে। এবার এই জাতীয় বেইমানদের উৎখাত নিশ্চিত।”
এরপর শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন ডেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, ওই কার্যালয়ের সামনে শনিবার তাদের যে সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে, তা চালু থাকবে। কিন্তু ওই সমাবেশ ‘করতে দেওয়া হবে ন ‘ বলে পরে হুঁশিয়ারি দেয় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।
দুই পক্ষের এই পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার মো. মাইনুল হাসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার বিজয়নগরের পাইওনিয়ার রোডের ৬৬ নম্বর ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।
দুইদিন ধরে চলমান উত্তেজনা এবং পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পর শুক্রবার রাতে এক জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শনিবারের কর্মসূচি স্থগিতের’ কথা জানান।