চাঁদপুর কচুয়ায় স্কুল মাঠে জলাবদ্ধতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

টুইট ডেস্ক: চাঁদপুরের কচুয়ার ১২নং উত্তর বড়দৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। এতে করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাতায়াত, খেলাধুলা, সৃজনশীল কর্মকাণ্ড ও সমাবেশ বিঘ্নিত হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা হচ্ছে এ বিদ্যালয়ের মাঠে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মচারী ও প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয়ের পাশ্ববর্তী ৩টি পুকুর থাকায় ওই পানিগুলো নিস্কাশন না হওয়ায় একটু বৃষ্টি হলে বিদ্যালয় মাঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে দূর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। এতে করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

জানা যায়, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ২০১ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। শিক্ষক রয়েছেন ৫ জন। বিদ্যালয় পাশ্ববর্তী বড়দৈল বাজার থাকায় বাজারের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয় ওই জলাবদ্ধতায়। এতে করে পচা দূর্গন্ধে শিক্ষার্থীরা নাক চেপে বিদ্যালয় আসতে হয়। সকাল বেলায় শিক্ষার্থীদের মাঠে এ্যাসেম্বলী করাতে পারছেন না, পাশাপাশি শিক্ষার্থীরাও জলাবদ্ধতার কারনে খেলাধুলা করতে পারছে না।

স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম ও ইউনুছ মিয়াজীসহ একাধিক লোকজন জানান, ১২নং উত্তর বড়দৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চারপাশে থৈ থৈ করছে পানি। বিদ্যালয়ের মাঠ ও রাস্তার নিচু হওয়ায় এবং পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় মাঠটির বেশিরভাগ অংশই জলমগ্ন হয়ে আছে। পানিতে বেড়ে উঠছে আগাছা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে মাঠে নামতে পারছে না। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিনের শরীরচর্চা ও জাতীয় সংগীত পরিবেশন অনুষ্ঠান ব্যাহত হচ্ছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, মাঠে পানি থাকায় আমরা খেলাধুলা করতে পারি না। অনেক সময় পরে গিয়ে আমার ব্যথা পাই। সাপ ও জোঁকের ভয়ে বারান্দা থেকে তো নিচে নামাই যায় না। কখনো পরে গিয়ে ভিজে গেলে ক্লাস করতে পারি না।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা পারভীন বলেন, স্কুলের মাঠে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত পরিবেশের কারণে শ্রেণিকক্ষে যাতায়াতের সময় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের অনেকেরই পা পিছলে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয় মাঠের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করেছি।

উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার সুভাষ চন্দ্র দাস বলেন, মাঠ ভরাটের জন্য উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রধান শিক্ষককে স্থানীয় ভাবে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের নিকট মাঠ ভরাটের আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। বরাদ্দ আসলে দ্রুততম ওই বিদ্যালয়ের মাঠটি ভরাট করা হবে।