রাজশাহীতে পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা, ট্রাকে আগুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের মধ্যে রাজশাহীতে এবার পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে দৃর্বৃত্তরা। এতে দুই পুলিশ আহত হয়েছেন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার বায়া বাজারের পাশে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের এ ঘটনা ঘটে।

এছাড়াও নগরীর শাহ মখদুম থানার সিটি হাটের পাশে পেট্রোল পাম্পের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকের সামনের অংশ পুড়ে গেছে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে দুইটি পেট্রোল বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জামিরুল ইসলাম বলেন, এয়ারপোর্ট টহল পুলিশের একটি দল বায়া মাছের আড়তের দক্ষিণ পাশে আইডিএফ রাজশাহী জোন অফিসের বিপরিতে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের পাশে অবস্থান করছিল। এ সময় একটি মোটরসাইকেল যোগে আসা তিন দুর্বৃত্ত পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে হাত বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায়।

তিনি বলেন, বোমাটি গাড়ির উপর বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়েছে দুই কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম শামীম হায়দার আহত হন। তারা দুইজনই গাড়িতে বসা ছিলেন। পরে তাদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে বোমার স্প্রীন্টারের আঘাত লাগে।

জামিরুল ইসলাম বলেন, পুলিশের গাড়িতে বোমা হামলার আধা ঘন্টার মধ্যেই একটি ট্রাকেও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ট্রাকটি সিটি হাটের পাশে একটি পেট্রোল পাম্পের সামনে সিটি বাইপাস সড়কের পাশে দাঁড় করানো ছিল। মোটরসাইকেলে গিয়ে দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে ট্রাকে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও দমকল কর্মীরা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলে একটি ব্যাগে দুইটি পেট্রোল বোমা পাওয়া গেছে।

এর আগের দিন মঙ্গলবার রাতে সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর রেলগেট মোড়ে রেশন বোর্ডের মহাব্যবস্থাপকের গাড়ি লক্ষ্য করে হাত বোমা হামলা চালানো হয়। এতে এক রুয়েটছাত্র আহত হন। একই দিন ভোরে নগরীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে আগুন দেয় দৃর্বৃত্তরা।

এছাড়াও গত রোববার রাতে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর উদপুর ও পুঠিয়ার ধোপাপাড়া এলাকায় পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে চলন্ত দুইটি বাসে আগুন দেয় হরতাল-অবরোধ সমর্থকরা। এর আগে গত ১৫ নভেম্বর রাতে মোহনপুরের খারইল এলাকায় পার্ট ভর্তি ট্রাক ও গত ৬ নভেম্বর নন্দনহাট এলাকায় মাঝের খাবারের ট্রাকে একইভাবে পেট্রোলবোমা ছুঁড়ে আগুন দেওয়া হয়।