ধ্বংসের মুখে সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প

টুইট ডেস্ক : দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ধ্বংসে নানামুখি ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীরা। দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সীমিতকরণ এবং রাত যাপনে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে সেই ষড়য়ন্ত্রেরই অংশ মনে করছেন তারা। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যটন সেবীদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া সরকারের একতরফা সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হবে না জানিয়ে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

দেশের জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলোর মধ্যে সেন্টমার্টিন অন্যতম। চারিদিকে নীল জলরাশি আর প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য দেশি-বিদেশি পর্যটকদের খুব সহজেই আকৃষ্ট করে।

প্রতিবছর শীত মৌসুমে অসংখ্য পর্যটক ছুটে যান সেন্টমার্টিনে। নাফ নদী এবং সমুদ্রপথে দ্বীপে যাওয়া-আসার সময় জাহাজের সঙ্গে মিতালি করে উড়ে বেড়ানো ঝাঁকে ঝাঁকে গাংচিল মুগ্ধ করে ভ্রমণ পিপাসুদের।

স্থানীয়দের ভাষায় ‘নারিকেল জিঞ্জিরা’ কিংবা জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমদের অপরূপ সৌন্দর্য্যের এই ‘দারুচিনি দ্বীপ’ কেবলই মুগ্ধতা ছড়ায়।

এমন বাস্তবতায় হঠাৎ করে জনপ্রিয় এই দ্বীপে পর্যটক সীমিতকরণ এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এ খাতের বিনিয়োগকারীরা।

এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক দাবি করে মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলন করেছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবী, সেন্টমার্টিনে পর্যটক সীমিত এবং রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ করা হলে চরমভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের প্রধান এই বিনোদন কেন্দ্র। পর্যটন খাত বিকাশে ১৮ দফা দাবি ও প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তারা।

সংশ্লিষ্ট তথ্য মতে, গত অর্থ বছরে পর্যটন খাত থেকে প্রায় ১১’শ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে সরকার। যার বেশিরভাগ এসেছে দেশের প্রধান এই বিনোদন কেন্দ্র থেকে।