রাজধানীতে ঢুকছে তিন দলের নেতাকর্মীরা
নিজস্ব প্রতিবেদক : টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে একদফা দাবিতে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে বিএনপি। একই দিন রাজধানীর গুলিস্তানে মহাসমাবেশ করে রাজপথ দখলের পাল্টা কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও। দুই দলের এই সমাবেশের ঘোষণা রাজনীতির মাঠে ফের উত্তেজনা তৈরি করেছে।
এরই মধ্যে মতিঝিলে আবার মহাসমাবেশ ডেকেছে জামায়াতে ইসলাম। ফলে একই দিনে রাজধানীতে তিনটি দলের সমাবেশ থাকায় নিরাপত্তা শঙ্কায় পড়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এদিকে, মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাজধানী ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশের আগের দিন গণপরিবহন বন্ধের আশঙ্কায় আগেই রাজধানীতে যাচ্ছেন তারা।
বিরোধী রাজনৈতিক দলের সূত্রগুলো বলছে, বিগত দিনগুলোতে সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে এমনকি নেতাকর্মীরা যাতে সমাবেশে যোগ দিতে না পারেন সেজন্য রাস্তায় রাস্তায় হয়রানি, গ্রেপ্তারসহ গণপরিবহন বন্ধ করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। তাই আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আগেভাগেই নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরীক দলের লক্ষাধিক নেতাকর্মী ঢাকায় প্রবেশ করেছেন।
এ ছাড়া আগামী তিন দিন বাস-ট্রাক-ট্রেন-লঞ্চসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে ঢাকায় প্রবেশ করবেন লাখ লাখ নেতাকর্মী। ইতোমধ্যে এই তিন দিনের গণপরিবহনের সব টিকিটও বিক্রি হয়ে গেছে বলেও জানিয়েছেন গণপরিবহন সেক্টরের সিনিয়র নেতারা।
এদিকে, বৃহত্তম রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশের দিনে নাগরিকদের জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রাখাসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সতর্ক অবস্থায় থাকার কথা জানিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।