নাতির ইটের আঘাতে দাদার মৃত্যু, আটক ২

টুইট ডেস্ক : নওগাঁর মহাদেবপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নাতির ইটের আঘাতে দাদা মকবুল হোসেনের (৬২) মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার বলরামপুর গ্রামে। নিহত মকবুল হোসেন পেশায় অটোচার্জার ভ্যানচালক ও খাজুর ইউনিয়নের বলরামপুর গ্রামের মৃত ওসমান আলীর ছেলে।

ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে শিশুটির মা মমতাজ বেগম ও তার সৎ পিতা নুরনবীকে পুলিশ আটক করেছে। এ ঘটনায় নিহত মকবুল হোসেনের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে মেহেদী হাসান (১২), তার মা মমতাজ বেগম (৩৫) ও সৎ পিতা নুরনবীকে আসামী করে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেন। নুরনবী একই গ্রামের মৃত কায়েম উদ্দীনের ছেলে।

নিহত মকবুলের ছোট স্ত্রী চানবানু বলেন, প্রায় বছর তিনেক আগে তার ভাগ্নে নুরনবী আগের পক্ষের সন্তানসহ মমতাজ বেগমকে ২য় বিয়ে করেন। ঘটনার দিন নুরনবীর সৎ ছেলে মেহেদী হাসান তার ঘরে ঢিল ছুড়তে থাকলে তিনি তার মা মমতাজ বেগমকে বিষয়টি জানান। এতে তার ভাগ্নে বউ মমতাজ বেগম ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।

এক সময় স্ত্রীর পক্ষ নিয়ে স্বামী নুরনবীও লাঠি দিয়ে তার খালা চানবানুকে মারপিট করতে থাকেন। এসময় মমতাজ বেগমও চানবানুর চুলের মুঠি ধরে এলোপাথারী মারপিট করতে থাকেন। স্ত্রী চানবানুকে উদ্ধারে এগিয়ে এলে খালু মকবুল হোসেনের উপরও চড়াও হন নুরনবী ও তার স্ত্রী মমতাজ বেগম।

এসময় শিশু মেহেদী হাসান একটি আদলা ইটের টুকরো তুলে দাদা মকবুল হোসেনের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারাত্মক আহত হয়ে সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা নুরনবীকে উত্তম মাধ্যম দিয়ে মকবুল হোসেনকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাশমত আলী জানান, এ ব্যাপারে নিহতের ভাই আহাদ আলী বাদী হয়ে ৩ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের শনিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয় এবং মরদেহ ময়নতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।