বীরকন্যা প্রীতিলতার আত্মাহুতি দিবস আজ

টুইট ডেস্ক: আজ বীরকন্যা প্রীতিলতার আত্মাহুতি দিবস। ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বরের এই দিনে তিনি শত্রুপক্ষের কাছে নিজেকে ধরা না দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন।

ব্রিটিশদের হাত থেকে নিজ দেশকে স্বাধীন করার জন্য তিনি শুধু নিজেকে গড়ে তোলেননি পাশাপাশি অনুপ্রাণিত ও উজ্জীবিত করে গেছেন অসংখ্য বিপ্লবীকে।

প্রীতিলতার ডাক নাম রানী। ছদ্মনাম ফুলতার। এই বীর কন্যা ১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯২৭ সালে চট্টগ্রামের খাস্তগীর বালিকা বিদ্যালয় থেকে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাস করার পর ১৯২৯ সালে ঢাকা ইডেন মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডে প্রথম স্থান অধিকার করেন।

মেধাবী ছাত্রী প্রীতিলতা এর ঠিক দুই বছর পরই কলকাতার বেথুন কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে ডিস্টিংশনসহ গ্র্যাজুয়েশন করেন।

ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন পূর্ববঙ্গের এই বাঙালিকন্যা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার। একের পর এক শত্রুপক্ষের বিরুদ্ধে সফল আক্রমণ চালিয়েছেন তিনি।

১৯৩২ সালের আজকের এই দিনে চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে সফল হন প্রীতিলতা। তবে শত্রুপক্ষের একটি গুলি হঠাৎই তার শরীর বিদ্ধ করে। নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরতে না পারার কারণে শত্রুপক্ষের হাতে ধরা পড়ার ভয় তাকে পেয়ে বসে।

নিজের দেশের কোনোরকম তথ্য শত্রুপক্ষকে দিতে একদমই রাজি ছিলেন না তিনি। এ কারণে শত্রুপক্ষের হাতে ধরা পড়ার আগেই সঙ্গে রাখা সায়ানাইড বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন প্রীতিলতা।

কীর্তিমান এ বাঙালি বিপ্লবীকে তাই শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে প্রতিটি বাঙালি।