গাজায় থামছেই না মৃত্যুর মিছিল, ১১ মাসে ৪০৮৭৮ ফিলিস্তিনি নিহত

টুইট ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় থামছেই না ইসরায়েলি বর্বরতা। দখলদার দেশটির লাগাতার হামলায় অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ হাজার ৮৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়া গত বছরের অক্টোবর থেকে চলা এ হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ৯৪ হাজার ৪৫৪ ফিলিস্তিনি।

দীর্ঘ ১১ মাস ধরে গাজায় নৃশংস হত্যাকাণ্ড চালানের পরও থামছেই না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মধ্যস্থতাকারীদের চেষ্টাও ব্যর্থ হচ্ছে বারবার।

যুদ্ধের ১১ মাসেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষোভে গত রোববার জিম্মিদের পরিবারসহ হাজার হাজার ইসরায়েলি রাস্তায় নেমে আসে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পালটা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ।

এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।

গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্যে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এরপর জীবিত বা মৃত অবস্থায় আরও কয়েকজন জিম্মিকে উদ্ধার করে ইসরায়েলি সেনারা।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান হামলায় আরও ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এতে করে গত বছরের অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৮৭৮ জনে।

ইসরায়েল বলেছে যে তারা উত্তর গাজার হালিমাহ আল-সাদিয়াহ স্কুলে হামলা চালিয়েছে, যেখানে আট ফিলিস্তিনি তাঁবুর আশ্রয়ে নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। মধ্য গাজার নুসিরাত শরণার্থী শিবিরেও পাঁচজন নিহত হয়েছেন।

ওয়াফা নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে নিহত কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিদের মধ্যে ১৩ বছর বয়সী বানা আমজাদ বকর ছিলেন।