স্কুলে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি, দুই শিক্ষকসহ নিহত ৪

টুইট ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আপালেচি হাইস্কুলে বন্দুকধারীর এলোপাতাড়ি গুলিতে চারজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও নয়জন।

ঘটনার পর সন্দেহভাজন এক বন্দুকধারীকে আটক করা হয়েছে। তার বয়স ১৪ বছর। তবে তার নামপরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। বন্দুক হামলার পর আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার সকালে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আটলান্টা থেকে ৪৫ মাইল বা প্রায় ৭২ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত বিদ্যালয়টিতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

অঙ্গরাজ্যের তদন্তকারী ব্যুরো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে হতাহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন শিক্ষক এবং দুজন শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, আপালাচি হাইস্কুলের সামনে কমপক্ষে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্স এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে একটি মেডিকেল হেলিকপ্টার রয়েছে।

জর্জিয়ার তদন্ত ব্যুরোর পরিচালক ক্রিস হোসে বলেন, গুলি চালানোর খবর পেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই স্কুলের দুই জন কর্মকর্তা গুলি চালনাকারীর মোকাবিলা করেন।

সন্দেহভাজন, যে কিনা ওই স্কুলের একজন শিক্ষার্থী, তাৎক্ষণিকভাবে আত্মসমর্পণ করে এবং তাকে আটক করা হয়। তাকে হত্যার অভিযোগে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক বলেই ধরা হচ্ছে।

সন্দেহভাজন ওই কিশোর বন্দুকটি কীভাবে পেল এবং কীভাবে স্কুলে বন্দুক নিয়ে প্রবেশ করল যা জানার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময়ে ব্যারো কাউন্টির শেরিফ জুড স্মিথ কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন এই সমাজেই তার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা এবং তার সন্তানেরা এখানকার স্কুলেই রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘এসব শিশুদের জন্য আমার হৃদয় কাঁদে। আমাদের সমাজের জন্য আমি কষ্ট পাই। তবে আমি এটা পরিষ্কার করে বলতে চাই যে এই কাউন্টিতে ঘৃণা থাকতে দেওয়া হবে না। আজ যা হয়েছে তা সত্ত্বেও ভালোবাসাই টিকে থাকবে এখানে।’

স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) বিশেষ এজেন্টরা স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে।

জর্জিয়ার গভর্নর ব্রায়ান কেম্প পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এদিকে বিদ্যালয়ে গুলিতে নিহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন। তাৎক্ষণিকভাবে এক বিবৃতিতে বাইডেন দম্পতি বলেন, ‘একের পর এক এমন ঘটনাকে আমরা স্বাভাবিক হিসেবে নিতে পারি না।’

ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেন, ‘আমাদের দেশে বন্দুক সহিংসতার এই মহামারিকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।