শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল হলে ভারতের ‘প্ল্যান বি’ প্রস্তুত

ছবি সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক: প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার প্রবল আন্দোলনের মুখে দেশত্যাগ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। তিনি আপাতত ভারতে অবস্থান করছেন, কিন্তু স্থায়ীভাবে কোথায় রাজনৈতিক আশ্রয় নেবেন, সে ব্যাপারে এখনো নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, তা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

জানা গেছে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার ডিপ্লোম্যাটিক/অফিশিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারতে প্রবেশ করেছেন। এই পাসপোর্টের ভিত্তিতে তিনি ভিসা ছাড়াই ৪৫ দিন ভারতে অবস্থান করতে পারবেন। এরই মধ্যে তিনি ১৫ দিন পার করেছেন, এবং আর এক মাস ভারতে থাকার বৈধতা রয়েছে তার। তবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তার এবং অন্যান্য সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিলের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার দপ্তরে।

বিবিসি বাংলার সূত্র অনুযায়ী, যদি শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল করা হয়, তাহলে ভারতের অবস্থান কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। ভারত কি তাকে ফেরত পাঠাবে নাকি আশ্রয় দেবে-এ নিয়ে চলছে বিতর্ক। তবে দিল্লির এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতের সবসময় ‘প্ল্যান বি’ বা ‘প্ল্যান সি’ প্রস্তুত থাকে, এবং শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে এ ধরনের পরিকল্পনা ইতিমধ্যেই নিয়ে রাখা হয়েছে।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ২০১৮ সালে স্বাক্ষরিত ‘সংশোধিত ট্র্যাভেল অ্যারেঞ্জমেন্ট’ অনুযায়ী, উভয় দেশের ডিপ্লোম্যাটিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়াই ৪৫ দিন পর্যন্ত একে অপরের দেশে থাকতে পারেন। এই সমঝোতার ভিত্তিতেই শেখ হাসিনা বর্তমানে ভারতে অবস্থান করছেন। তবে পাসপোর্ট বাতিল হলে তিনি কীভাবে সেখানে থাকবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

ভারতের শীর্ষস্থানীয় একাধিক কর্মকর্তা জানান, শেখ হাসিনার পাসপোর্ট বাতিল হওয়া সত্ত্বেও এটি কোনো বড় সমস্যা হবে না, কারণ ভারত এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য সবসময় বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি রাখে। ভারতের বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার দিকে নজর রাখছে সবাই। সূত্র: বিবিসি বাংলা, দেশ রূপান্তর, ইত্তেফাক