মুন্সিগঞ্জে লুট হওয়া ২১৯ অস্ত্র ও গোলাবারুদ পুলিশের কাছে হস্তান্তর

ছবি সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর বাংলাদেশের সরকারের পতনের পর থেকে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন পুলিশ থানা ও ফাঁড়িতে লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে, সেনাবাহিনী উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পুলিশকে হস্তান্তর করেছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) সকালে মুন্সিগঞ্জ সার্কিট হাউসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা মুন্সিগঞ্জ সদর থানা, টঙ্গিবাড়ী থানা, সদর পুলিশ ফাঁড়ি ও ট্রাফিক অফিস থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন। এই সময়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুবায়ের মোহাম্মদ খালেদ হোসেন, ক্যাপ্টেন রিফাত রহমান ও ক্যাপ্টেন চার্লস উপস্থিত ছিলেন।

মুন্সিগঞ্জে উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদের মধ্যে রয়েছে ১৪০টি রাইফেল, পিস্তল ও শটগান, এবং ৩ হাজার ৯৩৪টি গোলাবারুদ। এছাড়াও, ১ লাখ ৯ হাজার টাকা ও বিভিন্ন সরঞ্জামও হস্তান্তর করা হয়।

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গিবাড়ী থানা-পুলিশের কাছে উদ্ধারকৃত ৭৯টি অস্ত্র ও ৩ হাজার ৮৯১টি গোলাবারুদ বুঝিয়ে দেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা।

মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের পরিমাণ নিয়ে এখনও কিছু তথ্য বাকি রয়েছে। তিনি বলেন, “অস্ত্রের হিসাব-নিকাশ চলছে এবং রাতের মধ্যে পুরো হিসাব জমা হবে। তখন পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যাবে।”

৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের ফলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন পুলিশ থানা ও ফাঁড়ি থেকে ব্যাপক পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট হয়। এসব অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনী তাদের দক্ষতা ও কর্তব্যপরায়ণতার প্রমাণ রেখেছে, যা পুলিশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।