ষড়যন্ত্র ফাঁস: জুডিশিয়াল ক্যু বানচাল করলো ছাত্ররা

ছবি সংগৃহীত

টুইট ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বর্ধিত ভবনের সামনে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পদত্যাগ দাবিতে সাড়ে তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন আন্দোলনকারীরা। দুপুর আড়াইটার দিকে প্রধান বিচারপতি মো. ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করেন।

আন্দোলনকারীরা জানান, প্রধান বিচারপতির সাথে জড়িত একটি ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র চলছিল, যা ছিল একটি জুডিশিয়াল ক্যু পরিকল্পনা। এই ষড়যন্ত্রের পেছনে ছিলেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপের সহসমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মুহাম্মদ এই ষড়যন্ত্রের তথ্য ফাঁস করে বলেন, সেনাবাহিনীর গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য পেয়ে ছাত্ররা এই ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, হাইকোর্টের অ্যাপিলিয়েড ডিভিশনের বিচারপতিরা ফুল কোর্ট বসিয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করতে চেয়েছিলেন। তবে সেনাবাহিনীর কিছু ছোট অফিসার এবং ছাত্রদের সক্রিয় ভূমিকার কারণে এই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।

ছাত্রদের দাবি অনুযায়ী, এই পরিকল্পনায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ কয়েকজন বিচারপতি ছিলেন জড়িত। পরিকল্পনা ছিল, ড. মোহাম্মদ ইউনুস যখন রংপুরে আবু সাঈদের বাড়ি পরিদর্শনে যাবেন এবং তার হেলিকপ্টার যখন আকাশে থাকবে, ঠিক সেই সময়ে হাইকোর্টের বিচারপতিরা অন্তর্বর্তী সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করবেন। এসময় কিছু দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা রাজধানীতে হট্টগোল শুরু করার পরিকল্পনা করেছিলেন।

বিক্ষোভের মুখে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন এবং মিটিং স্থগিত হয়। ছাত্ররা বিচারপতির বাসা ঘেরাও করে রাখে, যাতে তিনি পদত্যাগপত্র দিতে বাধ্য হন। এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আপিল বিভাগের বিচারপতিকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

শনিবার (১০ আগস্ট) রাতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার এক্স হ্যান্ডেলে বলেন, বিক্ষোভকারীরা সুপ্রিম কোর্টে হামলা এবং প্রধান বিচারপতির বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল। তারা আদালতের পদত্যাগ দাবি করে এবং নিজেদের পছন্দের ব্যক্তিদের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের দাবি জানায়। জয় মন্তব্য করেন, “এটা সংস্কার নয়, এটি গণঅরাজকতা। বাংলাদেশে কোনো আইনশৃঙ্খলা নেই যখন এমনকি সুপ্রিম কোর্টও নিরাপদ নয়।”