‘আন্দোলন চলবে’, সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট

টুইট ডেস্ক : আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয়া কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহর ফেসবুক পোস্ট যখন ‘হাওয়া’ হয়ে গেছে, তখন আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ দিলেন ফেসবুক পোস্ট। স্ট্যাটাসে জানিয়ে দিলেন, আন্দোলন চলবে।

বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাত সোয়া একটার দিকে তিনি এই স্ট্যাটাস দেন। তারা তিনজন (সারজিস, হাসনাত, আসিফ) ডিবি হেফাজতে ছিলেন এবং সেখান থেকে বের হয়েই তাদের কাছ থেকে আসে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা।

আসিফ মাহমুদ তার স্ট্যাটাসে লেখেন, রাজপথের আন্দোলনের সিদ্ধান্ত রাজপথ থেকেই আসবে। ডিবি অফিস থেকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আদায়কৃত ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে রাজপথে নেমে আসা ছাত্র-জনতাকে সালাম জানাই।

তিনি আরও লেখেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার, দায়ীদের পদত্যাগ ও নির্বিচারে গণগ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কর্মসূচি চলমান থাকবে।

তাদের সঙ্গে হওয়া অত্যাচারের বিষয়টি উল্লেখ করে আসিফ লেখেন, গত ১৯ জুলাই থেকে অকথ্য নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করছি। আপোষহীনতার জন্য যেকোনো মুল্য দিতে প্রস্তুত আছি।

এই পোস্ট দেয়ার কিছুক্ষণ আগে আসিফ তার আরেকটি পোস্টে লেখেন, আইডি যেকোনো সময় ডিজ্যাবল কিংবা হ্যাক হয়ে যেতে পারে। তাই তার ফেসবুক পেজে ফলোয়ারদের যুক্ত থাকতে বলেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) ঢাকার একটি হাসপাতাল থেকে কোটা আন্দোলনের তিন সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নাহিদ ইসলামকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেয়া হয় ডিবি কার্যালয়ে। শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যায় আরও দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে হেফাজতে নেয়া হয়। পরদিন রোববার (২৮ জুলাই) নেয়া হয় আরেক সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুমকে।

শুরুতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা না হলেও পরে গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতা’র কারণে তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে ডিবি কার্যালয়ে।

এরপর বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই ৬ সমন্বয়ককে ডিবি কার্যালয় থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরে জানা যায়, তাদেরকে ছেড়ে দেয়ার দাবিতে শেষ দুইদিন তারা অনশনে ছিলেন।