শোকাবহ আগস্ট শুরু

ফাইল ছবি

টুইট ডেস্ক: শোকাবহ আগস্ট শুরু হলো আজ (বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট)। এই মাসে বাংলাদেশে সংঘটিত হয়েছিল বিশ্বের ইতিহাসের অন্যতম নৃশংস ও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু, প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্রের হাতে বাঙালি জাতির মুক্তি আন্দোলনের মহানায়ক, বাঙালির স্বাধীনতার মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পরপরই এই হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করতে ইনডেমনিটি আইন জারি করা হয়। এ কারণে, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে দীর্ঘ ২১ বছর বাঙালি জাতি বিচারহীনতার কলঙ্ককের বোঝা বহন করতে বাধ্য হয়।

এই শোকের মাসেই, ২০০৪ সালে, আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে ২৪ জনকে হত্যা করা হয়। ওই হামলার টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানীর নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে, তারা যে কোন জঘন্য কাজ করতে পারে।’

‘ভারত বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ শ্রী চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।’

টাইমস অব লন্ডন এর ১৯৭৫ সালের ১৬ আগস্ট সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়- ‘সবকিছু সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধুকে সবসময় স্মরণ করা হবে। কারণ, তাঁকে ছাড়া বাংলাদেশের বাস্তব কোন অস্তিত্ব নেই।’

একই দিন লন্ডন থেকে প্রকাশিত ডেইলি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ শেখ মুজিবের জঘন্য হত্যাকান্ডকে অপূরণীয় ক্ষতি হিসেবে বিবেচনা করবে।’

শোকের মাস আগস্টকে যথাযথ মর্যাদায় ও শোকাবহ পরিবেশে পালন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে মাসব্যাপী আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলো।