নিখোঁজের ৩ দিন পর কবিরাজের মরদেহ উদ্ধার
টুইট ডেস্ক : নওগাঁর বদলগাছীতে দেউলিয়া গ্রামের বাঁশঝাড় থেকে নিখোঁজের তিনদিন পর কবিরাজ শারিকুল (৫০) এর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে বদলগাছী থানা পুলিশ।
নিহত কবিরাজ শারিকুল (৫০) বদলগাছীর সদর ইউপির কাদিবাড়ি (খুলুপাড়া) গ্রামের মৃত তহির উদ্দিনের ছেলে। শারিকুল পেশায় কবিরাজি করতো বলে জানা গেছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে বদলগাছীর আধাইপুর ইউপির দেউলিয়া গ্রামে কার্তিকাহার রাস্তার পার্শ্বে আমন ধানের জমি তৈরি করার সময় পলাশ মাষ্টারের ইউকালেটার গাছের বাগান ও বাঁশঝাড়ের মাঝে স্থানীয় গ্রামবাসী অর্ধগলিত একটি মরদেহ দেখতে পায়। বিষয়টি সাথে সাথে বদলগাছী থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশের এস আই মানিক সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন।
খবর পেয়ে নিহতের স্ত্রী ও মেয়ে ঘটনাস্থলে আসে এবং মরদেহটি কবিরাজ শারিকুলের তা সনাক্ত করে। পরে মহাদেবপুর বদলগাছীর সার্কেল এ এস পি জয়ব্রত পাল, বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ মাহববুর রহমান, ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। মরদেহের সুরুতহাল রিপোর্ট করে সন্ধ্যায় মরদেহ ঘটনাস্থল থেকে থানায় নিয়ে আসা হয়।
নিহতের স্ত্রী জোসনা বেওয়া জানান, আমার স্বামী কবিরাজ শারিকুল (৫০) পরিবার নিয়ে বদলগাছী খাদ্যগুদামের পাশে একটি বাড়িতে রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করতো। এর মাঝে কয়েক মাসের বাসাভাড়া বাঁকী হয়ে পড়ে।
গত ২৬ জুলাই বাড়ি মালিককে বাসাভাড়া দিতে বলে এবং না পাড়লে বাসা ছেড়ে দিতে বলে। শুক্রবার (২৭ জুলাই) বাসাভাড়ার টাকা জোগাড় করতে না পাড়লে বিকেলে পরিবারের সাথে মনোমালিন্য করে বাসা থেকে বের হয়ে চলে যায়, ঐদিন রাত আনুমানিক ১২টা থেকে ১টার মধ্যে আমার স্বামী শারিকুল মোবাইলে ফোন করে আমার ছোট মেয়ে ধরলে বলে যে, আমি ঘাসমারা বিষ খেয়েছি এবং দেউলিয়া গ্রামের মেহগুনী বাগানে থেকে আমার মরদেহ যেন নিয়ে আসে।
পরদিন ২৮ জুলাই সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আমার মেয়ে ও আমি দেউলিয়ার বিভিন্ন জঙ্গলে খোঁজ করি এবং কোথাও মরদেহ না পেলে রাত ১১টার দিকে বদলগাছী থানায় বিষয়টি লিখিতভাবে জানাই।
এ ব্যাপারে বদলগাছী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, নিহতের স্ত্রী জোসনা তার স্বামী বিষ খেয়ে মৃত্যুর ব্যাপারে থানায় একটি অভিযোগ করেছিলো। থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছিলো।
মঙ্গলবার বিকেলে দেউলিয়া গ্রামের লোকজন ধান লাগানোর জন্য জমিচাষ করতে গিয়ে পলাশ মাষ্টারের বাঁশঝাড়ের পাশে অর্ধগলিত মরদেহটি দেখতে পায়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নওগাঁ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
