আন্দোলনে পুলিশ গুলি করতে বাধ্য হয়েছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

ফাইল ছবি

টুইট ডেস্ক: ৩১ জুলাই ২০২৪: কোটা আন্দোলনের সময় জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধ্য হয়ে গুলি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উচ্চপর্যায়ের এক সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, কয়েকজন সচিব এবং বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “নিরাপত্তা বাহিনী অত্যন্ত ধৈর্যের সাথে ধ্বংসযজ্ঞের মোকাবিলা করেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে সেনাবাহিনীকে ডাকা হয়েছে। যেখানে প্রয়োজন ছিল সেখানে জীবন ও সম্পদ রক্ষায় গুলি করতে বাধ্য হয়েছে। প্রতিটি গুলির হিসাব রাখা হয় এবং কোনো মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করা হয়েছে এবং তারা একটি প্রতিবেদন দেবে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা গণগ্রেপ্তার করছি না। গোয়েন্দা তথ্য, ভিডিও ফুটেজ এবং সাক্ষীর ভিত্তিতে যারা শনাক্ত হয়েছে তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। ভুলক্রমে কেউ গ্রেপ্তার হলে তাকে নির্দোষ প্রমাণিত হলে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।”

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে। ৩১ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত শিক্ষামন্ত্রী নেবেন। ইন্টারনেট পুনরায় চালু করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বৈঠকের পরে জানান, “পরিস্থিতি বিবেচনা করে ধাপে ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এইচএসসি পরীক্ষার তারিখ যথাসময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস শুরু করার সম্ভাব্যতা যাচাই করছে।”

বিদ্যমান পরিস্থিতিসহ নানা বিষয় নিয়ে এর আগে বৈঠকে বসেন সাত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী। কয়েকজন সচিবসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আলোচনায় যোগ দেন।