পাবলিক চার্জিং স্টেশনে ফোন চার্জ দেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ কেন?
টুইট ডেস্ক : ফোনের চার্জ শেষ হলে অনেকেই পাবলিক চার্জিং স্টেশন খোঁজেন। বিমানবন্দর, রেলওয়ে স্টেশন এমনকি বাস স্টেশনেও এমন গণ চার্জিং পয়েন্ট থাকে। এসব পয়েন্টে গিয়ে বিনা খরচে ফোন চার্জ করা যায়। অনেকেই এসব স্টেশন থেকে ফোন চার্জও করেন। কিন্তু এসব পাবলিক চার্জিং স্টেশন এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কেননা, এতে আপনা ফোন হ্যাক হতে পারে। বেহাত হতে পারে মূল্যবান তথ্যাদি।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের দাবি, পাবলিক চার্জিং স্টেশন যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। না হলে এই ধরনের চার্জিং স্টেশনে লাগানো ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে মোবাইল ফোন বা ট্যাবে থাকা ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে সাইবার প্রতারকদের হাতে।
ইউএসবি পোর্ট লাগানো সব জায়গায় মোবাইল বা ট্যাব চার্জ করা এড়িয়ে চলাই ভালো। বিকল্প হিসেবে বৈদ্যুতিক সকেটে নিজের চার্জার লাগিয়ে বা সঙ্গে থাকা পাওয়ার ব্যাংক থেকে চার্জ করার উপরে জোর দিতে হবে।
কেননা, বেশ কিছু জায়গায় এমন চার্জিং স্টেশন তৈরি করছে প্রতারকেরাই। তাতে এমন ম্যালওয়্যার ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে কোনও মোবাইল বা ট্যাব চার্জে বসানো হলে সেটির দখল নেবে ওই ম্যালওয়্যার।
এর ফলে মুহূর্তের মধ্যে ব্যাংক সংক্রান্ত সমস্ত ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, ফোনে থাকা প্রয়োজনীয় নম্বর সবই চলে যাবে প্রতারকের দখলে। এর পরে মোবাইল ফোন বা ট্যাবটি যার, তার ছবি ব্যবহার করে সমাজমাধ্যমে ভুয়া প্রোফাইল খুলে টাকা হাতানোর চেষ্টা করা হবে। ব্যাংক থেকেও লোপাট করে দেওয়া হতে পারে সারা জীবনের সঞ্চয়।
বিমানবন্দর বা অন্য বেশ কিছু বিশেষ নজরদারির আওতায় থাকা এলাকায় যেহেতু সরাসরি এমন চার্জিং স্টেশন প্রতারকেরা বসাতে পারে না, তাই নিশানা করা হয় আগে থেকেই সেখানে থাকা চার্জিং স্টেশনগুলোকে।
আপদকালীন সময়ে ব্যক্তিগত পাওয়ার ব্যাংক বা নিজস্ব চার্জার ব্যবহারের কোনও বিকল্প নেই। তবু কোথাও চার্জিং স্টেশনে চার্জ করতেই হলে ফোনে কেবলটি লাগানোর পরে ‘ডেটা ট্রান্সফার’ না বেছে ‘অনলি চার্জ’ অপশনটি বেছে নেওয়া যেতে পারে।
ফোনের সেটিংসে ঢুকে ‘অটো সিঙ্ক্রোনাইজড’ অপশনটিও বন্ধ করে রাখা যেতে পারে। সেই সঙ্গে ফোনের অ্যান্টি ভাইরাসের পাশাপাশি নিয়মিত ফোনও আপডেট রাখা জরুরি। ‘ইউএসবি ডেটা ব্লকার অ্যাপ্লিকেশন’ ফোনে রেখে ব্যবহার করা হলে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।