আপনার কি ফ্যাটি লিভার? এসব খাবার খান

টুইট ডেস্ক : ফ্যাটি লিভার একটি জটিল রোগ। তাই এই রোগ নিয়ে ছেলেখেলা করা চলবে না। এই ভুলটা করলে শরীরে সিঁধ কাটবে ভয়াবহ লিভার সিরোসিস। তাই বিপদ বাড়ার আগেই ফ্যাটি লিভারকে বাগে আনতে হবে। আর সেই কাজে আপনার হাতের পাঁচ হতে পারে কয়েকটি পরিচিত খাবার। তাই ঝটপট সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন।

ফ্যাটি লিভার রোগের প্রকারভেদ​-

​ফ্যাটি লিভারের দুইটি ভাগ রয়েছে। প্রথমত, অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। এক্ষেত্রে মদ্যপানজনিত কারণে এই রোগ পিছু নেয়। অপরদিকে রয়েছে নন অ্যালকোহোলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ। সাধারণত ফাস্টফুড, কার্বোহাইড্রেট এবং মিষ্টি খাবার খাওয়ার দরুন এই রোগের ফাঁদে পড়েন মানুষ।

খাবারেই রোগমুক্তি​-

এই জটিল অসুখ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে সবার প্রথমে মদ্যপান, মিষ্টি খাবার, ফাস্টফুড এবং কার্বোহাইড্রেট রিচ খাবারের থেকে দূরত্ব বাড়ান। তার বদলে ভরসা রাখতে পারেন বেশ কয়েকটি খাবারে।

সূর্যমুখীর বীজই সেরার সেরা​-

সূর্যমুখীর বীজে রয়েছে ভিটামিন ই। আর এই ভিটামিন শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মতো কাজ করে। ফলে লিভারের প্রদাহ কমে। এমনকি দ্রুত ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ থেকে সেরে ওঠা যায়।

হলুদের শরণাপন্ন হন​-

ফ্যাটি লিভার থেকে সেরে উঠতে চাইলে নিয়মিত সেবন করুন কাঁচা হলুদ। কারণ, এতে রয়েছে কারকিউমিন নামক একটি উপাদান। আর এই উপাদান লিভারের ক্ষয়ক্ষতি সারায়। তাই ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের হলুদ সেবনের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।

বাদামই মহৌষধি-

বাদাম শরীরের প্রদাহ, ইনসুলিন রেজিস্টেন্স এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমায়। যেই কারণে এই খাবার খেলে খুব সহজেই ফ্যাটি লিভারের মতো সমস্যা থেকে সেরে ওঠা যায়। তাই প্রতিদিন ৫ থেকে ১০টি বাদাম খেতে ভুলবেন না যেন!

ডায়েটে থাকুক ওটস​-

এই খাবার হল ফাইবারের ভাণ্ডার। আর এই উপাদান বিপাকের হার বাড়ায়। কমায় ইনফ্লামেশন। যেই কারণে ফ্যাটি লিভারের মতো অসুখ থেকে দ্রুত মেলে মুক্তি। তাই আপনার রোজের ডায়েটে অবশ্যই ওটসকে জায়গা করে দিতে হবে।