মাইক্রোসফট উইন্ডোজ কম্পিউটারের বিভ্রাটের কারণ জানা গেল

টুইট ডেস্ক : মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম চালিত কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা সম্প্রতি নাস্তানুবাদ হয়েছেন। নীল হতে দেখা গিয়েছে কম্পিউটার-ল্যাপটপের স্ক্রিন। রিস্টার্ট করেও যা চালু করা যায়নি।

এর ফলে ব্যাংকিং থেকে শুরু করে বিমান পরিষেবা, নানা ক্ষেত্রে ব্যাহত হয়েছে পরিষেবা। মাইক্রোসফটের প্রযুক্তিগত ত্রুটির ধাক্কা সবচেয়ে বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপরে পড়লেও এর প্রভাব ছিল অনেক দেশেই।

কিন্তু কেন হঠাৎ ক্র্যাশ করল এই বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার সিস্টেম? নেপথ্যে রয়েছে বড় কোনও ষড়যন্ত্র? ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই যা নিয়ে বিবৃতি দেয় মাইক্রোসফট। সংস্থার তরফে জানানো হয়, ক্রাউডস্ট্রাইক আপডেট হওয়ার জন্য তৈরি হয়েছে এই সমস্যা।

এখন প্রশ্ন হল, কী এই ক্রাইডস্ট্রাইক? এটি প্রকৃতপক্ষে একটি সাইবার সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম। যা মাইক্রোসফট ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মটিতে রয়েছে সিঙ্গেল সেন্সর ও ইউনিফায়েড থ্রেট ইন্টারফেস। যার মাধ্যমে নানা ধরনের উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে আইডেনটিটি থ্রেট আটকানোর কাজ করে ক্রাউডট্রাইক।

সহজ কথায় বলতে গেলে, সাইবার অ্যাটাক হলে সিস্টেম যাতে হ্যাক না হয়, তার নিরাপত্তা প্রদান করে এই সিকিউরিটি প্ল্যাটফর্ম। যে কারণে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের গ্রাহকদের একটি বড় অংশই এটি ব্যবহার করেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, প্রযুক্তিগত ত্রুটির জেরে ক্রাউডস্ট্রাইকের ফ্যালকন সেন্সরে গোলমাল দেখা দিয়েছে। যার জেরে বসে গিয়েছে মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ। সমস্যার কথা স্বীকার করেছে ক্রাউডস্ট্রাইক কর্তৃপক্ষ। পরিষেবা স্বাভাবিক করতে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকালে মাইক্রসফট উইন্ডোজ কাজ করা বন্ধ করতেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক পোস্ট। এদিন কম্পিউটার-ল্যাপটপ খুললেই স্ক্রিনের উপর ফুটে উঠেছে একটি লেখা। তা হল, ‘ইয়োর ডিভাইস রান ইনটু আ প্রবলেম অ্যান্ড নিডস টু রিস্টার্ট। উই আর জাস্ট কালেক্টিং সাম এরর ইনফো, অ্যান্ড দেন ইউ উইল রিস্টার্ট ইট ফর ইউ।’

প্রযুক্তিবিদদের কথায়, এর নাম ‘ব্লু স্ক্রিন অফ ডেথ’। এতে বারবার রিসার্ট হতে থাকে সিস্টেম। ফলে একটা সময় তা ক্র্যাশ করে যায়। সেই সঙ্গে উড়ে যায় যাবতীয় আনসেভড ডেটা।

এদিন মাইক্রোসফটের সিস্টেমে এই সমস্যার সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে ফ্লাইট পরিষেবায়। বাতিল হয় একের পর এক বিমান। শুধু তাই নয়, বহু জায়গাতেই বাধ্য হয়ে হাতে লেখা বোর্ডিং পাশ বিলি করেছে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন্স কোম্পানি।