কমলা হ্যারিসকে ‘উগ্র বাম পাগল’ বললেন ট্রাম্প

ফাইল ছবি

বিশ্ব ডেস্ক: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী কমলা হ্যারিসকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি তার প্রথম সমাবেশে কমলাকে “উগ্র বামপন্থী পাগল” হিসেবে অভিহিত করেন।

স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনায় সমাবেশ করেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই সমাবেশেই তিনি তার সম্ভাব্য নতুন নির্বাচনী প্রতিপক্ষ বর্তমান মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলাকে আক্রমণ করে বক্তব্য দেন।

এর আগে গত রোববার (২১ জুলাই) যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি তার দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কমলার প্রতি সমর্থন জানান।

বাইডেন সরে দাঁড়ানোয় আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলাই কার্যত ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী।

কমলার প্রার্থিতার বিষয়টি সামনে আসার পর ট্রাম্প তাঁর করা প্রথম সমাবেশে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টকে আক্রমণের নিশানা করেন। কমলাকে উদ্দেশ করে ট্রাম্প বলেন, “তিনি একজন উগ্র বাম পাগল, যিনি কখনো নির্বাচিত হলে আমাদের দেশকে ধ্বংস করে দেবেন।”

রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ট্রাম্প বলেন, “আমরা তা হতে দেব না।”

ট্রাম্প নিয়মিতভাবে তার বিরোধীদের আক্রমণের ক্ষেত্রে অপমানজনক ভাষা ব্যবহার করেন। গতকালের সমাবেশে তিনি স্পষ্ট করে দেন যে তিনি নমনীয় হচ্ছেন না।

কমলা হ্যারিস প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং প্রথম এশিয়ান-আমেরিকান, যিনি মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি হবেন প্রথম নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সীমান্ত ইস্যু তুলে কমলাকে আক্রমণ করে ট্রাম্প বলেন, “অভিবাসন বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের নীতির জন্য কমলাকে দায়ী করা উচিত। কমলা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। ফলে সারা বিশ্ব থেকে দুই কোটি অবৈধ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার সুযোগ পেয়েছেন।”

ট্রাম্পের এই বক্তব্য তার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে। সমাবেশে উপস্থিত হাজার হাজার মানুষ হাততালি দিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্যকে সমর্থন করেন।

তবে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতারা এই বক্তব্যের কড়া নিন্দা জানিয়েছেন এবং কমলাকে তাদের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিয়ে একত্রিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আগামী নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হতে চলেছে। ট্রাম্পের এই আক্রমণাত্মক বক্তব্য নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।