নির্বাচনী বিধি ভেঙ্গে সমাবেশ করে নৌকায় আগাম ভোট চাইলেন এমপি
নিজস্ব প্রতিবেদক : দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক তফসিল হয়েছে গত ১৫ নভেম্বর। নির্বাচনি বিধি অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত দিন ও সময়সূচি ছাড়া কোনো ধরনের আগাম নির্বাচনি প্রচারণা নিষিদ্ধ। কিন্তু এই বিধি-নিষেধের তোয়াক্কা না করে বৃহস্পতিবার নিজের নির্বাচনি এলাকা রাজশাহীর তানোরে দুটি প্রচারণা সমাবেশ করেছেন রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ-সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী।
এসব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আসন্ন ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে তিনি নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসীকে। সভায় এলাকার উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সংসদ সদস্য নৌকার পক্ষে ভোট চেয়েছেন। ফারুক চৌধুরী (Faruk Chowdhury) নামে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারও করেছেন তিনি।
পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদ কৃষ্ণপুর ফুটবাল মাঠ এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে। এটি অনুষ্ঠিত হয় দুপুরে। আর বিকেলে দরগাডাঙ্গ স্কুল মাঠে অপর মতবিনিময় সভার আয়োজন করে কমলা ইউনিয়ন পরিষদ। শেষে সমাবেশে অংশগ্রহণকারী মানুষকে দুপুরে বিরিয়ানি খাওয়ানো হয়। দুই সমাবেশে গরু খাসি ও চিকেন বিরিয়ানি খাওয়ানো হবে বলে ফেসবুকে প্রচারণা চালানো হয়।
এলাকাবাসী জানান, তানোরের সমাবেশ দুটির ব্যানারে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় বলে উল্লেখ করা হলেও দুটি সমাবেশই কার্যত ছিল আগাম নির্বাচনি প্রচারণার সমাবেশ। ওমর ফারুক চৌধুরী নিজেকে তানোর তথা বরেন্দ্রভূমির সন্তান উল্লেখ করে সমাবেশে আবারও তাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। আর একবার সুযোগ চেয়ে তিনি আবার নির্বাচিত হলে এলাকার মানুষের জন্য বিপুল সুযোগ-সুবিধা তৈরি করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন।
সমাবেশে এমপি ফারুক বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি আপনাদের জন্য আরেকটা পরীক্ষার দিন। কঠিন এই পরীক্ষায় আপনাদের উত্তীর্ণ হতে হবে। আপনারা সবাই চোখ বন্ধ করে নৌকায় ভোট দেবেন। নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা গত ১৫ বছরে অনেক কিছুই পেয়েছেন এবং আরও পাবেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, তফসিল হওয়ার পর কমিশন ঘোষিত প্রচার-প্রচারণার জন্য নির্ধারিত দিন ও সময়ের মধ্যেই নির্বাচনি প্রচারণা করতে পারবেন কোনো প্রার্থী। এ ছাড়া কোনো সম্ভাব্য প্রার্থী অগ্রিম ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এটাই কমিশনের বিধিবদ্ধ নিয়ম। কেউ এই বিধি লঙ্ঘন করলে রিটার্নিং অফিসার হিসাবে তিনি সম্ভাব্য প্রার্থীর বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন পাঠাবেন। কমিশন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।
এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, তিনি নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করেননি। এলাকাবাসীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।