শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার কৌশল
টুইট ডেস্ক : শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য শিশু এবং মা-বাবা উভয়ের জন্যই একটি কষ্টদায়ক অভিজ্ঞতা হতে পারে। এটি অস্বাভাবিক নয়, কারণ শিশুরা অনেক সময় এমন সব খাবার খায় যেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
সহজ ঘরোয়া প্রতিকারের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা যায়। এক্ষেত্রে শিশুর মা-বাবা কিংবা অভিভাবককে সমস্যা বুঝে সমাধানের দিকে যেতে হবে। কারণ শিশুরা নিজের সমস্যার কথা সব সময় বুঝতে বা বলতে পারে না।
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য বোঝা-
প্রতিকার করার আগে, শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য কী তা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর যদি প্রায়ই মলত্যাগে কষ্ট হয় অর্থাৎ শক্ত মল হয় এবং শিশু যদি নিয়মিত মলত্যাগ না করে তাহলে এদিকে বিশেষ নজর দিন। শিশুদের জন্য, বিশেষ করে ছয় মাসের কম বয়সীদের জন্য, অন্ত্রের অভ্যাস এবং প্রকৃত কোষ্ঠকাঠিন্যের মধ্যে পার্থক্য করা গুরুত্বপূর্ণ।
হাইড্রেশন বজায় রাখুন-
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সবচেয়ে সহজ উপায়গুলোর মধ্যে একটি হলো তাকে ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখা। ছয় মাসের কম বয়সী শিশুর জন্য বুকের দুধ বা ফর্মুলা যথেষ্ট হওয়া উচিত।
যদি আপনার শিশুকে ফর্মুলা খাওয়ানো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সম্মুখীন হয়, তাহলে শিশু বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করার কথা বিবেচনা করতে পারেন। একটু বড় শিশুদের ক্ষেত্রে ফলের রস মলকে নরম করতে সাহায্য করতে পারে।
শিশুর খাবারের তালিকা-
যেসব বাচ্চারা শক্ত খাবার খাওয়া শুরু করেছে তাদের জন্য খাদ্য কোষ্ঠকাঠিন্য পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উচ্চ ফাইবারযুক্ত খাবার অন্ত্রের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এক্ষেত্রে শিশুকে কী খেতে দেবেন-
ফল ও সবজি-
নাশপাতি, আপেল, পেয়ারা এবং বরই বিশেষভাবে কার্যকর। এই ফল ফাইবার সমৃদ্ধ এবং মল নরম করতে সাহায্য করতে পারে। একইভাবে, মটর, ব্রকলি এবং পালং শাকের মতো সবজি উপকারী হতে পারে।
গোটা শস্য-
রিফাইন্ড খাদ্যশস্যের পরিবর্তে গোটা শস্য রাখুন শিশুর খাবারের তালিকায়। এ ধরনের খাবার শিশুর অন্ত্রের সঠিক কার্যকারিতায় সাহায্য করার জন্য প্রয়োজনীয় ফাইবার সরবরাহ করবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন-
চালের দানা, কলা এবং অত্যধিক দুগ্ধজাত খাবার কখনও কখনও কোষ্ঠকাঠিন্যে বাড়িয়ে তুলতে পারে। এই খাবারগুলোর প্রতি আপনার শিশুর প্রতিক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করুন এবং সেই অনুযায়ী সামঞ্জস্য করুন।