বাংলাদেশের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ায় সরকারি সংস্থা এনটিএমসি চিন্তিত
টুইট ডেস্ক : বাংলাদেশের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার (এনটিএমসি) সৃষ্টির পর এবার আবারও সামাজিক মাধ্যমের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হয়েছে, যা হ্যাকিংয়ের সংকেত দেয়।
অরক্ষিত অবস্থায় থাকা ওই তথ্যভান্ডারের খোঁজ পেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ক্লাউডডিফেন্স ডটএআইর নিরাপত্তাবিষয়ক গবেষক ভিক্টর মারকোপোলোস। তিনি ওয়্যারডকে বলেন, ১২ নভেম্বর ওই তথ্যভান্ডার হ্যাকারদের হাতে চলে যায়।
মারকোপোলোস ওয়্যারডকে আরও বলেন, ৮ নভেম্বর সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বাংলাদেশের কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমকে (সার্ট) ওই সব তথ্য অরক্ষিত অবস্থায় থাকার কথা জানান তিনি। সার্ট তাঁর বার্তা পাওয়ার কথা জানিয়ে তাঁকে ধন্যবাদ দেন। ওয়্যারডকে পাঠানো এক ই–মেইল বার্তায় সার্ট বিষয়টি এনটিএমসির নজরে আনার কথাও উল্লেখ করে।
এই ঘটনায় এনটিএমসি একটি অরক্ষিত তথ্যভান্ডার থেকে নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করে ফেলেছে। এনটিএমসি একটি রক্ষিত তথ্যভান্ডারের মধ্যে কোন কারণে এই তথ্য ফাঁস হয়েছে তা স্পষ্ট হয়নি। তবে, ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্যে রয়েছে নাগরিকের পূর্ণ নাম, পেশা, রক্তের গ্রুপ, মা–বাবার নাম, ফোন নম্বর, বিভিন্ন ফোনকলে তিনি কত সময় কথা বলেছেন সেই হিসাব, গাড়ির নিবন্ধন নম্বর, পাসপোর্টের বিস্তারিত তথ্য ও আঙুলের ছাপের ছবি।
এনটিএমসির প্রবৃদ্ধি ক্রমের তারিখ দেখে মন্ত্রণালয় অধিকারিগণ জানায়, তথ্যভান্ডারটি একটি অরক্ষিত জায়গা, তবে তার সুরক্ষা মোকাবিলার অভাবে এই তথ্য চুরি হয়েছে এমন সম্ভাবনা উঠছে।
এ সংবাদের প্রকাশের পর সাইবার নিরাপত্তা পর্ষদের একটি সদস্য জানানো হয়, এনটিএমসি বাংলাদেশের তথ্য প্রণালী ও নাগরিক নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কৌশল প্রশিক্ষণ দেয়। তাতে একজন নাগরিক যদি অসুস্থ হয়ে যায় তার মোবাইল ও কম্পিউটারের ব্যবহার কেন্দ্রে হ্যাকিং এর সতর্কতা দেওয়া হয়। তার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এস এম আব্বাস হোসেন বলেন, অসুস্থ হয়ে যাওয়া একজন নাগরিকের তার মোবাইল ও কম্পিউটার সামরিক হতে পারে। সে সময় তার ব্যক্তিগত তথ্য এনটিএমসি এমন একটি তথ্যভান্ডারে রয়েছে যা সুরক্ষিত হওয়া মোকাবিলা করা হয়নি।
এ অবস্থায় এনটিএমসি এবং সাইবার নিরাপত্তা পরিষদের মধ্যে তৈরি একটি যৌথ দল অসুস্থ হয়ে যাওয়া ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে তার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আবারও উৎসাহিত হয়েছে।
তবে তথ্য বেহাত হওয়ায় সরকারি সংস্থা এনটিএমসি চিন্তিত হয়েছে এবং সংবাদমাধ্যম ও সার্কারের প্রতিষ্ঠানগুলি এ সংবাদটি প্রকাশ করার প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় আবার একবার সাইবার নিরাপত্তা বাড়তে এনটিএমসি সাজাচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে এমন ঘটনা একবার আবার তাগিদ করছে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা সংস্থানগুলির উপর, যা ভবিষ্যতে এই সংস্থাগুলির তথ্য রক্ষা করতে কিভাবে নতুন উপায় অবলম্বন করতে হবে । সুত্র : সংবাদটি ইকোনমিক টাইমস থেকে সংগৃহীত এবং প্রথম আলো প্রকাশিত)