কানাডার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা, ক্ষতিপূরণ দাবি

টুইট ডেস্ক : শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা, নগ্ন করে তল্লাশি চালানো এবং দিনের পর দিন কারাগারে বন্দি করে রাখার অভিযোগে কানাডার সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ৮ হাজার ৩৬০ জন অভিবাসী। মঙ্গলবার দেশটির অন্টারিও প্রদেশের উচ্চ আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।

মামলায় কানাডার সরকারের কাছে ১০ কোটি কানাডিয়ান ডলার ক্ষতিপূরণ চেয়েছে বাদিপক্ষ। প্রধান আসামি করা হয়েছে কানাডার সীমান্তরক্ষী বাহিনী কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সিকে (সিবিএসএ)।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, কানাডায় বসবাস সংক্রান্ত নথিপত্রে সমস্যা থাকার অভিযোগে গত ২০১৬ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত কানাডার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এই অভিবাসীদের। তারপর তাদের বন্দি রাখা হয়েছিল সাধারণ কারাগারে, দাগী আসামিদের সঙ্গে। সাধারণ কয়েদিদের মতো তাদের চলাচলের ওপরও কঠোর বিধিনিষেধ জারি ছিল।

প্রসঙ্গত, কোনো অভিবাসীর বিরুদ্ধে অভিবাসন সংক্রান্ত মামলা থাকলে, নথিপত্রে সমস্যা থাকলে এবং কোনো অভিবাসী জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠলে তাকে গ্রেপ্তার করতে পারে সিবিএসএ। তবে দেশটির প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হলে তাকে বন্দি রাখা যাবে অভিবাসন কেন্দ্রের বিশেষ সেলে। সাধারণ কারাগারে তাদের বন্দি রাখা যাবে না।

মামলাকারী অভিবাসীরা তাদের অভিযোগপত্রে এই বিষয়টিকেই কেন্দ্রে রেখেছেন। বাদিপক্ষের আইনজীবীরা এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অভিবাসীদের বন্দি করা একটি নিয়মিত প্রশাসনিক কার্যক্রমের অংশ এবং কানাডার প্রচলিত আইন অনুযায়ী, এই ধরনের প্রশাসনিক কার্যক্রম কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নয়। এই অভিবাসীদের সাধারণ কারাগারে দাগী আসামিদের সঙ্গে বসবাস করতে বাধ্য করার মাধ্যমে সেই আইনের লঙ্ঘণ ঘটেছে।’

এ প্রসঙ্গে কানাডার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। একজন উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এএফপিকে বলেন, “আমরা মামলার ব্যাপারটি শুনেছি। তবে এ ইস্যুতে আমাদের পদক্ষেপ কী হবে- সে সম্পর্কে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।”