আনন্দ মিছিলে আওয়ামী লীগ নেতাকে থাপ্পড় মেরে ভাইরাল এমপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : আনন্দ মিছিলের সাবেক ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাকে থাপ্পড় মেরে ভাইরাল হয়েছেন নাটোরের এক এমপি। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর থাপ্পড়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।

এই সংসদ সদস্যের নাম সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী। তিনি চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসের নাটোর-৪ আসনের উপনির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও তিনি বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যানও ছিলেন।

ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, নেতাকর্মীদের নিয়ে বড়াইগ্রামের বনপাড়া বাজারে একটি আনন্দ মিছিলে উল্লাস করছিলেন। মিছিলের একপর্যায়ে সংসদ সদস্যর কাছে এগিয়ে গিয়ে কিছু একটা বলতে চাচ্ছিলেন সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদৌস। এ সময় মেজাজ হারিয়ে এমপি সিদ্দিক পাটোয়ারী বাম হাত দিয়ে ওই নেতাকে ধাপ্পড় মারেন। থাপ্পড়ের পর ওই নেতা সরে গেলেও মিছিলে তাল মিলিয়ে হাততালির সঙ্গে নাচতে দেখা যায় সংসদ সদস্য সিদ্দিকুর রহমানকে।

থাপ্পড়ের শিকার ফেরদৌস বড়াইগ্রাম উপজেলার জুয়াড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ছিলেন। বুধবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তফসিলের সমর্থনে এমপির সঙ্গে তারা আনন্দ মিছিল করছিলেন। মিছিলের শেষের দিকে গুরুত্বপূর্ণ একটি খবর দিতে গিয়েছিলেন এমপির কাছে। খবরটি না শুনে এমপি তাকে থাপ্পড় মারেন। তবে এটি নিয়ে তার কোনো অভিযোগ নেই।

বনপাড়া পৌর সভার মেয়র কেএম জাকির হোসেন বলেন, একজন সংসদ সদস্য হয়ে প্রকাশ্যে একের পর এক কুরুচিপূর্ণ ঘটনা ঘটাচ্ছেন। জনসম্মুখে হাত তালি দিয়ে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করেছেন এমপি। এসব বিতর্কিত ভিডিওগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। সেসব ভিডিও নিয়ে অনেকেই আবার টিকটক তৈরি করছেন। এতে করে ব্যাপকভাবে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাছাড়া সিদ্দিক পাটোয়ারী পরীক্ষিত আওয়ামী লীগ নন। পাটোয়ারী ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশ করেছেন। এ কারণে দলের প্রতি এই এমপির কোনো ভালোবাসা নেই।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, উপনির্বাচনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বেশকিছু বিতর্কিত কাণ্ড ঘটিয়েছেন সিদ্দিকুর রহমান। আওয়ামী লীগের মর্যাদার কথা তুলে ধরে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতে সংসদ সদস্য সিদ্দিক পাটোয়ারীকে একাধিকবার মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু কিছুই মানছেন না সংসদ সদস্য। সবশেষ বুধবার সন্ধ্যার পর এক সাবেক ইউপি সদস্যকে ধাপ্পড় দিয়ে বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। এতে দলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।