স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে আর্জেন্টিনা
টুইট ডেস্ক : নাহুয়েল মলিনা খুব করে ভুলে যেতে চাইবেন ইকুয়েডরের বিপক্ষে প্রথমার্ধের সময়টা। আরও স্পষ্ট করে বললে প্রথমার্ধের ১০ থেকে ১৯ মিনিটের সময়টা।
ইকুয়েডরের সেরা দুই তারকা মইসেস কেইসেডো এবং এনার ভ্যালেন্সিয়া রীতিমতো নাভিশ্বাস তুলেছিলেন আর্জেন্টাইন রাইটব্যাকের। তবে সেখান থেকে ফিরে আসতে আর্জেন্টিনাও সময় নেয়নি।
চাপের সেই মুহূর্ত ভুলে আর্জেন্টিনা ম্যাচে ফিরেছে। সময় নিয়ে আধিপত্য ফিরিয়ে এনেছে নিজেদের। আর তাতে ফলও এসেছে। লিওনেল মেসির কর্নার থেকে হেডে বল পেছনে পাঠিয়েছিলেন ম্যাক অ্যালিস্টার।
দূরের পোস্টে আনমার্কড ছিলেন লিসান্দ্রো মার্টিনেজ। বল সেখান থেকেই জড়ালেন জালে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ডিফেন্ডারের গোলের সুবাদেই লিড নিয়ে বিরতিতে যায় কোপার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
৩৫ মিনিটের ওই গোল লিসান্দ্রো মার্টিনেজের আর্জেন্টিনা ক্যারিয়ারের প্রথম গোল। আর সেটাই পুরো ৪৫ মিনিটে আর্জেন্টিনাকে দিলো অস্বস্তি থেকে মুক্তি।
প্রথমার্ধে লিড পেলেও আর্জেন্টিনাকে মাঠের খেলায় খুঁজে পেতে এদিন সময় লেগেছিল অনেকখানি। এনার ভ্যালেন্সিয়া, কেইসোডো এবং ১৭ বছরের তরুণ কেন্ড্রি পায়েজ ইকুয়েডরকে এগিয়ে রেখেছিলেন অনেকটা সময় পর্যন্ত।
২৯ মিনিটের আগ পর্যন্ত ইকুয়েডরের ৩ বিগ চান্সের বিপরীতে গোলে কোনও বড় রকমের সুযোগই তৈরি করা হয়নি আর্জেন্টিনার। এমনকি ম্যাচে তাদের প্রথম যুতসই আক্রমণের দেখা মিলেছিল ২৬ মিনিটে এসে।
তবে ৩০ মিনিটের পর থেকে আলবিসেলেস্তেরাই রাজত্ব করেছেন পুরোদমে। বল দখলে এগিয়ে ছিল আগেই। এরসঙ্গে নিকো গঞ্জালেস, ম্যাক অ্যালিস্টারের কুইক ট্রানজিশনাল মুভমেন্ট আর রদ্রিগো ডি পলের হোল্ডিং পজিশন আর্জেন্টিনাকে দিয়েছে স্বস্তি।
ডানপ্রান্তে লিওনেল মেসিকে খুব বেশি ছন্দে দেখা যায়নি। ইনজুরি থেকে ফিরলেও মেসির পুরোটা দেখা পেতে আরও খানিক সময় লাগবে তা অনুমান করাই যায়।