বিশ্বব্যাপী সপ্তম ‘গোল্ডেন ফ্যাটি লিভার দিবস’ আজ: বাংলাদেশের ৪.৫ কোটি মানুষ ঝুঁকিতে

টুইট ডেস্ক: বাংলাদেশে প্রতি তিন জনে এক জনের ফ্যাটি লিভার আছে, যার মানে প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত। এর মধ্যে প্রায় ১ কোটি মানুষ সিরোসিস বা লিভার ক্যানসারের ঝুঁকিতে রয়েছে। ফ্যাটি লিভারের প্রধান কারণ হচ্ছে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক পরিশ্রমের অভাব। বিশেষজ্ঞদের মতে, খাদ্যাভ্যাস, হাঁটার অভ্যাস এবং জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন ও ওজন কমানোর মাধ্যমে ফ্যাটি লিভার ও ন্যাশ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কার্বোহাইড্রেট-সমৃদ্ধ খাবার বেশি গ্রহণ করেন এবং শারীরিক পরিশ্রম কম করেন, তাদের ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি বেশি। বাইরের খাবার গ্রহণ এবং দিনে পাঁচ ঘণ্টার ওপরে বসে থাকাও ঝুঁকি বাড়ায়।

বিশ্বব্যাপী লিভার রোগজনিত মৃত্যু মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। ফ্যাটি লিভার থেকে ন্যাশ (স্টিয়াটো-হেপাটাইটিস) এবং এরপর সিরোসিস ও ক্যানসার হতে পারে। এ রোগ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং ইনসুলিন কার্যকারিতার কমে যাওয়ার সঙ্গেও সম্পর্কিত।

বিশ্বব্যাপী সপ্তম বারের মতো আজ ১৩ জুন পালিত হচ্ছে ‘গোল্ডেন ফ্যাটি লিভার দিবস-২০২৪’। এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো-“ACT NOW, SCREEN TODAY”। দিবসটি উপলক্ষে ঢাকায় হেপাটোলজি সোসাইটি একটি গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করেছে, যেখানে বিশেষজ্ঞরা ফ্যাটি লিভারের প্রভাব এবং প্রতিরোধের উপায় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

হেপাটোলজি সোসাইটি, ঢাকা কর্তৃক ফ্যাটি লিভার প্রতিরোধে সুপারিশগুলির মধ্যে রয়েছে:
– সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন এবং প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা।
– দড়ি লাফ এবং সাইকেল চালানো।
– দুধ, ফল, শাক-সবজি খাওয়া বাড়ানো এবং চিনিযুক্ত খাবার, পানীয়, চকলেট, আইসক্রিম, ফাস্ট ফুড এবং ট্রান্স-ফ্যাট কমানো।
– স্কুল ও প্রশাসনিক ওয়ার্ডে খেলার মাঠ রাখা বাধ্যতামূলক এবং শিশুদের খেলতে অনুপ্রাণিত করা।

এই রোগের প্রাদুর্ভাব রোধে ব্যক্তিগত এবং সামাজিক পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।