দেশে নেটের গতি তলানিতে রেখে রপ্তানি হচ্ছে ব্যান্ডউইথ
টুইট ডেস্ক : বাংলাদেশে পঞ্চম প্রজন্মের ইন্টারনেট সেবা ফাইভ জি চালু হলেও নেই অগ্রগতি। ভিনদেশে ব্যান্ডউইথ রপ্তানি করলেও নিজ দেশের নেটের গতিই তলানিতে। সাবেক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলছেন, উল্টোপথে চলছে এই দপ্তর। তবে বিটিআরসি বলছে, অচিরেই গতি পাবেন নেটসেবীরা।
বিশ্বজুড়ে ২০৮ দেশের মধ্যে মোবাইল কিংবা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে তলানিতেই অবস্থান বাংলাদেশের। থ্রি-জি ফোর-জি সেবাই যেখানে সুলভ নয় সেখানে উচ্চাভিলাষী প্রকল্প ফাইভ-জি চালু করে মন্ত্রণালয়।
মোবাইল নেটসেবায় বাংলাদেশ বিশ্বে ১০৮তম আর ব্রডব্যান্ডে ১১২তম অবস্থানে। আইএসপিগুলো ১০ এমবিপিএস ব্রডব্যান্ডে ইন্টারনেট সেবা দিলেও মোবাইল অপারেটরদের গতির তারতম্য ক্ষেত্রভেদে অনেক।
বিটিআরসি কমিশনার শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, “এটা একদিনে বাড়বে না। কিন্তু আমরা যে নতুন ব্রন্ডব্যান্ড পলিসি করতেছি ওখানে আপাতত ধরে রেখেছি ২০ এমবিবিএস। এটা আগামী বছরের মধ্যেই হবে। তখন গতি অনেক বেশি হবে।”
কোথাও কোথাও ৪জি-ই মিলছে না। গড়ে ওঠেনি ৫জি ব্যবহারের উপযোগিতাও। তারপরও সমন্বয় করে শক্তিশালী নেটসেবার প্রতিশ্রুতি বিটিআরসির।
শেখ রিয়াজ আহমেদ বলেন, “ফাইভ-জি ২০২০ টেস্ট হয়েছে। আমাদের চারটি অপারেটই টেস্টেট করেছে। এই ফাইভ-জির জন্য যে ফ্রিকোয়েন্সি দেওয়া কথা সেটা আমরা দিয়েছি। এটা ২.৩ জি ব্যান্ড, ২.৬ জি ব্যান্ড এবং টেলিটককে দেয়া হয়েছে ২.৫ জি ব্যান্ডে।”
নীতি-পরিকল্পনায় আমলাতান্ত্রিক জটিলতাকে দুষছেন টেলিযোগাযোগ খাতের কাণ্ডারি সাবেক এই মন্ত্রী।
সাবেক টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “সরকারি কোম্পানিগুলো একটা অদ্ভূত সিস্টেমে কাজ করে। তার একমাত্র স্যাটেলাইট কোম্পানি ছাড়া বাকিগুলোর বোর্ড আছে এবং বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছে সচিব।
ওই সচিবের মাধ্যমে এগুলো পরিচালিত হয়। সচিব তো ব্যবসা বুঝেনা কিন্তু তিনি ব্যবসায়ী কোম্পানির প্রধান হিসেবে উপরে বসে থাকেন। সেগুলো মন্ত্রীদের সাথে পরামর্শও করেননা সচিবরা। সে কারণে আমি মনে করি যে, খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এই কাঠামোটা পরিবর্তন করা।”
ইন্টারনেটের গতি ও মূল্য গ্রাহকদের নাগালের মধ্যে রাখাকে প্রাধান্য দিতে হবে বলেও মত তার।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, “মোবাইল ব্যবহারকারীকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় তার প্রধান সমস্যার কথা তখন সে হয়তো বলবে ইন্টারনেটের দাম বেশি, ব্যান্ডউইথ নেই অপারেটর গতি দিতে পারছেনা। আমাদের দেশের মানুষ খুব সহজেই প্রযুক্তি গ্রহণ করে, যেটা তার কাজে লাগে।”
ব্যান্ডউইথ রপ্তানি এ খাতের অর্জন হলেও অন্য খাতেও মনোযোগ দিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।