শরীরের দুর্বলতা নিমিষেই গায়েব, কীভাবে বানাবেন এই মশলা?

টুইট ডেস্ক : বেশি পরিশ্রম হলে ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্বলতা ও ক্লান্তি বাড়ে, এটাও স্বাভাবিক। তবে যদি অল্প বয়সে পর্যাপ্ত খাবার, ভাল জিনিস খাওয়ার পরেও ক্লান্ত লাগা, দুর্বল হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে কিন্তু শরীর খারাপের লক্ষণ। পুষ্টির অভাব হলে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়।

আবার খুব কম পরিমাণে পানি খেলে, শরীরে যদি পানির ঘাটতি হলে তাহলেও কিন্তু আবার শারীরিক ক্ষমতা কমতে আসে। শরীর খুব দুর্বল হয়ে যায়। ক্লান্ত লাগে নিজেকে। রান্নাঘরের কিছু মশলা গুঁড়া করে খেলেই কিন্তু দুর্বলতা কেটে যাবে। কাজে এনার্জিও পাওয়া যাবে।

কী কী মশলা এনার্জি বাড়ায়?

এলাচ, পোস্ত দানা, ঘি, ছোট এলাচ, পোস্ত দানা, দেশি ঘি। এগুলো একসঙ্গে গুড়া করে যদি নিয়মিত কয়েকদিন খেতে পারেন তাহলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। এমনকি আপনার শরীর ক্লান্ত লাগবে না। দুর্বল হবেন না। কমবে দুর্বল ভাব। শরীর থেকে দুর্বল ভাব কমাতে ও এনার্জি বাড়াতে ছোট এলাচ রোজ খান।

কী উপকার রয়েছে এই মশলায়?

১. রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে, আপনার মস্তিষ্ক ভালোভাবে কাজ করবে,
২. শরীরে শক্তিই পাবেন আপনি, হাড় মজবুত করতে নিয়মিত দুধের সঙ্গে খান।
৩. পোস্ত দানা ও গোল মরিচ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে আপনি সহজে উত্তেজিত হবেন না। মাথা ঠান্ডা থাকবে।
৪. পুরুষদের যৌন ক্ষমতা আরও বাড়বে।
৫. শরীর দুর্বলতা কমাতে ও শরীরে শক্তি বাড়াতে অবশ্যই দেশি ঘি খান।
৬. এটি খেলে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা অনেকটাই বাড়বে।
৭. পেস্তা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার থাকে। যা আপনার হাড় আরও মজবুত করতে সাহায্য করবে। শুধু তাই নয়, আপনার শরীরে ক্লান্তি কমাবে।
৮. ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাবেন। একটি খেলে আপনার শরীরের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

কীভাবে তৈরি করবেন এই মশলা?

ছোট এলাচ নিয়ে এলাচের দানা বের করে নিন। তারপরে এটিকে ভালো করে গুঁড়া করুন। এবার পেস্তা নিয়ে এক চামচ ঘি নিন সেটিকে পাত্রে নিয়ে গরম করুন, কিছু পোস্তর দানা নিয়ে হালকাভাবে ভেজে নিন। তারপর সেগুলো ভালোভাবে গুঁড়া করুন। মশলার গুঁড়া একটি পাত্রে রাখুন।

তারপর এক গ্লাস গরম গরম দুধের সঙ্গে আপনি যদি এই মশলার গুঁড়া খান তাহলে আপনার রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে। শরীরে ইমিউনিটি পাওয়ার অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়বে। হাড় দুর্বল হবে না। হার্ট অ্যাটাকেরও ঝুঁকি কমবে।