যে ৫ খাবার ক্ষতিকর মস্তিষ্কের জন্য

টুইট ডেস্ক : আমাদের প্রতিদিনের খাওয়া খাবারের সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। কিছু খাবার আছে যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য উপকারী। আবার কিছু খাবার মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

আমাদের শরীর ও মন সুস্থ রাখতে মস্তিষ্কের সুস্থতা সবার আগে জরুরি। তাই খেতে হবে এর জন্য উপযোগী খাবার। সেইসঙ্গে বাদ দিতে হবে মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর খাবার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

চিনি

চিনি আবার কে না খায়? মিষ্টি স্বাদের প্রায় সব খাবার তৈরিতেই চিনি ব্যবহার করা হয়। অন্তত প্রতিদিনের চা কিংবা কফির সঙ্গে তো চিনি খাওয়া হয়ই। কিন্তু আপনি কি জানেন এই চিনি আমাদের মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে?

পরিমিত মাত্রায় না খাওয়া হলে এটি শরীরের জন্য নানা ক্ষতি ডেকে আনে। এটি কেবল রক্তে শর্করার মাত্রাই বাড়ায় না, সেইসঙ্গে এতে থাকা ফ্রুকটোজ মানুষের বুদ্ধির গতিকে মন্থর করে দেয়। যার ফলে কমতে থাকে স্মৃতিশক্তি।

ডায়েট কোল্ড ড্রিংকস

অনেকেই মনে করেন ডায়েট কোল্ড ড্রিংকস বুঝি উপকারী। আসলে কিন্তু একদমই তা নয়। তাই এখন থেকে বাইরে বের হলে শরীর ঠান্ডা করার জন্য ডায়েট কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া বন্ধ করুন। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের পানীয় পান করার ফলে ব্রেইন স্ট্রোকের আশঙ্কা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।

পোড়া খাবার

খাবারের কত রকমফের! একেক খাবার একেক ভাবে তৈরি করা হয়। কাবাব জাতীয় ঝলসানো যে খাবার রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খান তা কিন্তু মস্তিষ্কের জন্য মোটেও উপকারী নয়।

এসব খাবার যতই জনপ্রিয় হোক না কেন, এগুলো মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। কারণ এ ধরনের খাবারে প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা মস্তিষ্কের বড়সড় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

জাঙ্ক ফুড

বর্তমানে চারদিকে জাঙ্কফুডের রাজত্ব! হাত বাড়ালেই নানা মুখরোচক খাবার। পিজ্জা, বার্গার, চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই! জিভে জল চলে এলো বুঝি? অথচ এই খাবারগুলো আপনার মস্তিষ্কের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ ধরনের খাবার প্রতিদিন খাওয়া হলে আইকিউ কমতে সময় লাগবে না। তাই এ ধরনের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।

অতিরিক্ত লবণ

সুস্থ থাকার জন্য নির্দিষ্ট মাত্রার লবণ শরীরের প্রয়োজন হয়। তবে তার অতিরিক্ত খেলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা। আমাদের খাবারের সঙ্গে যে লবণ খাওয়া হয় তাকে থাকে প্রচুর সোডিয়াম।

এই সোডিয়াম অতিরিক্ত গ্রহণ করা হলে তা মস্তিষ্কের ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন লবণ খাওয়ার পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। দৈনিক আড়াই গ্রামের বেশি লবণ খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।