ঘূর্ণিঝড়টি কোন দিক দিয়ে যাবে, জানা যাবে বুধবার

টুইট ডেস্ক : গত এপ্রিলজুড়েই ছিল তীব্র তাপমাত্রা। এরপর মে মাসের শুরু থেকেই নামে ঝড়বৃষ্টি। টানা কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতি বেশি দিন ছিল না। আবারও তাপদাহে তপ্ত হয়ে উঠে দেশ।

এর মধ্যেই জানা গেছে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি দেখা দিয়েছে। কমেছে তাপমাত্রাও। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তবে এখনো পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না ঘূর্ণঝড়টি কোন দিক দিয়ে যাবে। আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, আগামীকাল বুধবার বিকেল নাগাদ লঘুচাপ তৈরি হওয়ার পর বোঝা যাবে এর গতিপথ কোনদিকে যাবে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে গতকাল সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বাগেরহাটের মোংলায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ হিসেবে তাপমাত্রা কমেছে ২ ডিগ্রি।

এ ছাড়াও সোমবার ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পাওয়া গেছে ৩৩ দশমিক ৪, যা রোববার ছিল ৩৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে হিসেবে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে ঢাকায়।

অপরদিকে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সারা দেশের ১২ জেলার ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।