পৃথিবীর রহস্যঘেরা যে পাঁচটি স্থানে বসবাস করতে পারেনা মানুষ

বিশ্বে ডেস্ক : আমাদের পৃথিবীতে রহস্যঘেরা স্থানের অভাব নেই। ঠিক তেমনি এই রহস্যকে জয় করতে চাওয়া মানুষেরও অভাব নেই। মানুষ সবসময় অজানাকে জানতে চায়। তবে কিছু জায়গা এতোটাই রহস্যময় যা এখনও মানুষের ধরাছোঁয়ার বাহিরে। এই প্রতিবেদনে এমনই পাঁচটি রহস্যজনক স্থানের বিষয়ে লেখা হয়েছে, যেখানে মানুষ বসবাস করতে পারেনা।

মুচু ছিশ

পাকিস্তানে অবস্থিত এমন একটি পর্বত শৃঙ্গ যেখানে কখনো মানুষ পৌঁছতে পারেনি। দুর্গম অঞ্চল কারাকোরাম রেঞ্জের অন্তর্গত এই পর্বত চূড়ার উচ্চতা ৭ হাজার ৪৫৩ মিটার বা প্রায় ২৪ হাজার ৪৪৯ ফুট। অনেক অভিযাত্রী-ই এই পর্বতের চূড়ায় যেতে চেষ্টা করেছেন। সকলেই ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৪ সালে যুক্তরাজ্যের একদল অভিযাত্রী পর্বত শৃঙ্গটির প্রায় ৬০০০ মিটার ওপর পর্যন্ত আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছিলো। তবে এর বেশি দূর তারা যেতে পারেননি।

নামিব মরুভূমি

পৃথিবীর আরেকটি রহস্যময় স্থান হলো নামিব মরুভূমি। যেখানে সমুদ্র ও মরুভূমি মিশে একাকার হয়ে গেছে। আটলান্টিক মহাসাগরের কোলে অবস্থিত এই বালুর রাজ্য। এই মরুভূমিতে দিনের তাপমাত্রাকে বলা যায় পৃথিবীর মধ্যে নরক। আর রাতে প্রচণ্ড তাপমাত্রা। এখানে নেই কোনো পানির চিহ্ন। নামিবে মানুষের বেঁচে থাকা অসম্ভব।

সিঙ্গি দে বেমারাহা জাতীয় উদ্যান

সিঙ্গি দে বেমারাহা জাতীয় উদ্যান মেলাকি অঞ্চলে অবস্থিত। যা উত্তর পশ্চিম মাদাগাস্কারের মধ্যে পড়েছে। পাথরে ঘেরা এই জায়গাটি যেমনি অসাধারণ, ঠিক তেমনি মানুষের ঘুরে বেড়ানোর জন্য যথেষ্ট অযোগ্য।

গাংখার পুয়েনসাম

ভুটানের গাংখার পুয়েনসামকে বলা হয় পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ পর্বত। ২৪ হাজার আটশ ৩৬ ফুট উচ্চতা এই পর্বতের। বহু আরোহী চেষ্টা করেছে এই জায়গাটি দেখার, কিন্তু ব্যর্থ হয়েছে সবাই।

কামচাটকা

আয়তনে ইতালির চেয়ে একটু বড়, রহস্যময় সৌন্দর্যের এই দেশ পৃথিবীর মানুষের কাছে এখনও অজানা। কামচাটকার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ জায়গাজুড়ে রয়েছে স্টোন অথবা আরমেন্স বার্চ গাছ। যে গাছগুলো তুষারপাতের কারণে ইয়ে পড়ে ও পেঁচিয়ে যায়। কামচাটকায় প্রায় ৩০টি জীবন্ত আগ্নেয়গিরি