কেনিয়ায় নাগরিকদের বৃক্ষরোপণে ছুটি
টুইট ডেস্ক : কেনিয়ায় নাগরিকেরা সরকারি লক্ষ্যের অধীনে ১০০ মিলিয়ন গাছ লাগানের উদ্দেশ্যে এক মাস ধরে ট্রি প্ল্যান্টিং করছে। দেশটির প্রধান উদ্দেশ্যের একটি অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপটি করা হয়েছে, যা দেশের প্রাকৃতিক সম্পদগুলির সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে লড়াইয়ে গড়ে তোলায়।
দেশের পরিবেশ মন্ত্রী সোইপান তুয়ার মতে, এই উদ্যোগ ছুটির দিনের ঘোষণা করে দেশবাসীদের মধ্যে উৎসাহ তৈরি করেছে। এই লক্ষ্যে পূর্বের ১০ বছরে ১৫ বিলিয়ন গাছ লাগানের পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত আছে, যা দেশকে একটি প্রস্তুতি সৃষ্টি করতে সাহায্য করবে।
বৃক্ষরোপণ করতে প্রতি কেনিয়ানকে অন্তত দুটি চারা রোপণে উৎসাহিত করা হচ্ছে, এবং এই উপায়ে ১০০ মিলিয়ন গাছ লাগানের লক্ষ্যটি সহজেই পূরণ হয়। এই পদক্ষেপের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন মুক্ত করার প্রক্রিয়া, যা বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় সহায়ক। গাছের মাধ্যমে বায়ু থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে এই পদক্ষেপটি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে একটি ক্রিটিক্যাল কন্ট্রিবিউশন করতে পারে।
দেশের প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম রুটো নেতৃত্বে এই প্রকল্পের আয়োজন করছেন, এবং বিভিন্ন অঞ্চলে কাউন্টি গভর্নর ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা প্রক্রিয়ায় নেতৃত্ব দিয়ে চলতে বলেছেন। এই উদ্যোগে অংশ নেওয়া দিয়ে অনেক মানুষ আনন্দ পায়, যেমন স্থানীয় বাসিন্দা স্টিফেন চেলুলে, যিনি এই উদ্যোগের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে অবদান রেখেছেন। তার মতে, গাছ লাগানে এসে তাদের পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে এবং এটি প্রাকৃতিক বন নিধন ঠেকাতে সাহায্য করতে পারে।
এই উদ্যোগটি সহযোগিতা করার জন্য সরকার একটি অ্যাপ উপযুক্ত চারা রোপণের জন্য বিভিন্ন সহায়ক উপায় উপস্থাপন করছে। এই অ্যাপের নাম ‘জাজা মিতি’ এবং এটি নাগরিকদের সঠিক প্রজাতির সঙ্গে সাইটের মিল রেখে উপযুক্ত চারা রোপণে সহায়তা করতে উন্নত।
সরকারের এই উদ্যোগটি প্রযোজ্যতা পান্ত্ব অনুভূত হয়েছে, তবে কিছু ব্যক্তিত্বের মধ্যে প্রকল্পের পরিকল্পনা সঠিকভাবে সঞ্চিত হয়নি। পরিবেশবাদী তেরেসা মুথোনি অভিবাদন করেছেন, প্রকল্পটি প্রাকৃতিক বন নিধন ঠেকাতে ব্যর্থ হতে পারে এবং সঠিক স্থানে গাছ লাগানো গুরুত্বপূর্ণ।
পরিবেশবাদী বলছেন, ‘উদ্যোগটি খুব ভালো কিন্তু কার্যক্রমের পরিকল্পনাটি সেভাবে করা হয়নি। সঠিক স্থানে গাছ লাগানো খুব গুরুত্বপূর্ণ।’
এই পদক্ষেপটির সাথে সাথে মানুষের উপজীবন এবং প্রকৃতি সংরক্ষণে এক সম্ভাব্য অবনমনে হোল না বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। এটি একটি সার্থক প্রযুক্তি হতে পারে এবং প্রবল প্রকৃতি সংরক্ষণে দেশের উন্নতির দিকে একটি অগ্রগতি দেওয়ার একটি উদাহরণ।